ঐশ্বর্য্য দে সরকার
করোনার মারে প্রায় বছর দুই ঘরবন্দি। আপাতত একটু রেহাই মিললেও ওই অফিস বাজার পর্যন্তই দৌড়। বছরে চার-পাঁচবার পাহাড়-সমুদ্র দেখা বাঙালির ঘরে কি আর মন টেকে? তাই কলকাতা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে এই বিলে ঘুরে আসতে পারেন মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে। বাইক বা স্কুটি করেও চলে যেতে পারেন। অত্যন্ত সুন্দর জায়গা এখনো সেই অর্থে জনপ্রিয় হয়নি, তাই ভিড়ও কম, থাকার হোটেল নেই তাই দিনের দিন ফিরে আসতে হবে। খুব কম খরচে সাধ্যের মধ্যে একটু সবুজ মেখে চলে আসতে পারবেন। নৌকা বিহারের আনন্দের সাথে দারুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করতে পারবেন। এই সময় গেলে সুদূর বিস্তৃত শরতের আকাশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। রাস্তায় যেতে যেতে কাশবন দেখতে পাবেন, সুন্দর সবুজ ঘেরা ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম ক্যামেরাবন্দি করে নিতে পারেন। বারাসাত কিংবা নীলগঞ্জ পর্যন্ত প্রচুর খাবারের দোকান পাবেন, কিন্তু বর্তির বিলে কোনও খাবারের দোকান সেভাবে এখনো তৈরি হয়নি তাই জলখাবার সঙ্গে করে নিয়ে গেলে ভালো হয়। পেট্রোল পাম্পও খুব কম, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যদি নিজেদের গাড়ি নিয়ে যান।
কীভাবে যাবেন বর্তির বিল :
বাইক স্কুটি কিংবা গাড়িতে গেলে কল্যাণী হাইওয়ে হয়ে সোজা চলে যান ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড়, সেখান থেকে নীলগঞ্জ মোড় হয়ে পৌঁছে যাবেন বর্তির বিল।
কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে বাসে করে চলে আসুন বারাসাত ডাকবাংলো, সেখান থেকে বাস বা টোটো চড়ে পৌঁছে যান নীলগঞ্জ, নীলগঞ্জ মোড় থেকে টোটো চড়ে বর্তির বিল।
ওলা/উবেরেও যেতে পারেন, লোকেশন দিতে হবে বর্তির বিল।